- Joined
- Dec 22, 2024
- Threads
- 407
- Messages
- 5,564
- Reaction score
- 2,009
- Points
- 3,913
- Age
- 40
- Location
- Dhaka, Bangladesh
- Gender
- Male
*****সেলিব্রেটি*****
মূল লেখকঃ মোস্তাফিজুর রহমান টিটু
মূল লেখকঃ মোস্তাফিজুর রহমান টিটু
রবীন্দ্রনাথ, মান্না দে, আর নায়ক রাজ রাজ্জাক ট্রেন থেকে নামলেন । রাতের শেষ লোকাল ট্রেন, জেলা শহর থেকে বেশ দূরে পাড়াগাঁর স্টেশন । ট্রেনের গার্ড বিশেষ যত্ন করেই তাদের নামিয়ে দিলো । এরকম সন্মান অবশ্য তাদের প্রাপ্যই । কিন্তু তাদের তিনজনের জীবনেই আজ এক ভয়ংকর অপমানের দিন ।
রাজু সমস্ত জীবন দেখলাম এই ল্যাম্প পোস্টের আলো অন্ধকারের চাইতেও খারাপ । না আলো, না অন্ধকার । এর চেয়ে নিকষ কালো অন্ধকার কী শ্রেয় ছিলো না ।
ষ্টেশনের ল্যাম্পপোস্টের সামনে এসে রবীন্দ্রনাথ গম্ভীরভাবে কথাগুলো বললেন ।
কি করবেন স্যার । পল্লী বিদ্যুতের আলো । লাইট যে জ্বলে সেটাই তো অনেক ।
রাজ্জাক ওরফে রাজু উত্তর দেয় ।
তবুও আমাদের কি কিছুই করার নেই ।
রবীন্দ্রনাথ আর্তনাদের মতো করে বলেন ।
অবশ্যই আছে । চলেন ইট দিয়ে লাইট ভেঙ্গে দেই । এটা তো লাইট না অচলায়তনের প্রতীক । আমরা না ভাঙলে এসব কে ভাঙবে ?
এতক্ষণ চুপ করে থাকা মান্না দে বলে উঠেন । বলেই নিজেই কিছু ইট যোগাড় করে আনেন । তিনজনে সমানে একটার পর একটা ইট মারতে থাকেন । কোনোটাই লক্ষ্য ভেদ করতে পারে না । তিনজনেরই বয়স হয়েছে তার উপর ট্রেনে ওঠার আগেই কিছু কারণবারি খাওয়া হয়েছে ; খাটি বাংলা । পা হাত দুটোই সামান্য টলোমলো । অতএব ল্যাম্পপোস্টের লাইট মিটি মিটি হাসতেই থাকে । মাঝে স্টেশন মাষ্টার একবার দেখে গেছেন তাদের এই কর্মকাণ্ড । অন্য কেউ হলে এতক্ষণে ঘাড় ধরে ষ্টেশন থেকে বের করে দিতেন । তার সেই ক্ষমতা আছে আর এই বঙ্গদেশে ক্ষমতা আছে আর তার প্রয়োগ নাই এমন তো হয় না । বরং সবাই এক ডিগ্রী বেশী ক্ষমতা দেখায় । দারোগা দেখায় ওসির ক্ষমতা, ওসি দেখায় এসপির ক্ষমতা; কমিশনার দেখায় এমপির ক্ষমতা, এমপি দেখায় মন্ত্রীর ক্ষমতা, মন্ত্রী দেখায়… (আমরা ভাগ্যবান যে এইখানে থামা গেলো) । কিন্তু সবার সাথে তো আর ক্ষমতা দেখানো যায় না । এরকম মানী লোকদের সাথে তো অবশ্যই না । ষ্টেশন মাষ্টার তাই কিছু না বলেই চলে যান ।
লাইট তো না যেনো প্রডিউসার এর মুটকি সেক্রেটারি । কোনোভাবেই লাগানো যাইতাছে না ।
মান্না হতাশ সুরে বলে ।
একটু না হয় মদই গিলেছো মান্না, তাই বলে এসব বলতে হবে । তুমি তো জানো আমি অশ্লীল কথা পছন্দ করি না । তাও আমার সামনে প্রায়ই তোমরা এসব বলো ।
সরি গুরুদেব । কিন্তু প্রডিউসার হারামজাদা আপনাকে শত শত লোকের সামনে কি গালিটাই দিলো ।
গালি তো আর আমাকে একা দেয় নাই তোমাদের দুজনকেও দিয়েছে । সবচেয়ে ভদ্র যে গালিটা দিয়েছে সেটা চিন্তা করলেও আমার বাংলা নেশাটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।
কোন গালিটা স্যার ।
নায়ক রাজ নিরীহভাবে জিজ্ঞেস করে ।
ঐ যে বললো না আমি নাকি “স্ত্রীর ছোট ভাইয়ের হিন্দি চুলের কবি” ।
আপনে পারেনও গুরুদেব, সামান্য অশ্লীল শব্দ এড়াবার জন্য আপনি কত মেহনতই না করেন । দুংখ হয় এরা আপনার মর্যাদা বুঝতে পারলো না ।
এরা, তোমার, আমার মান্নার কারো মর্যাদাই বোঝে নাই, বুঝবেও না ।
এদের তিনজনের এরকম মর্মবেদনার কারণ হলো একটা অনুষ্ঠান । চ্যানেল জেড এর “আঁধার ঘরে চাঁদের আলো” নামের অনুষ্ঠান । এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিভা বের করা এবং তাদেরকে সারা দেশে পরিচিত করে দেওয়া । প্রযোজক/উপস্থাপক গ্রামের মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েও তাদের প্রগ্রাম দেখায় নাই এই অভিযোগে মামলার কারনে দুই বছর আগে অবশ্য অনুষ্ঠানটা একবার বন্ধ হয়ে যায় । সব কিছু ম্যানেজ করে এবার আবার শুরু হয়েছে । রবীন্দ্রনাথ, মান্না দে আর আমাদের নায়ক রাজ রাজ্জাক এর আসল নাম এই এলাকায় বেশী লোক জানে না । শিল্প, সাহিত্যে, গান, অভিনয়ে তাদের প্রতিভা আর নিরলস শ্রমের কারণে এই এলাকার সবাই তাদেরকে ঐ নামেই চেনে এবং সন্মান করে । কিন্তু প্রতিভা নিয়ে আঁধার ঘরে বসে থাকলে তো হবে না, তাকে চাঁদের আলোয় নিয়ে আসতে হবে । তাই অনেক লোকের অনুরোধে আর নিজেদের মধ্যে লুকানো খ্যাতির লোভে তিনজনই গিয়েছিলো জেলা শহরে টিভির অনুষ্ঠানে অংশ নিতে । ভুল সুরে তিনজনের গান আর দুই তরুণীর অদ্ভুত নাচের পরেই সেক্রেটারি এসে বললো আর কোনো রেকর্ডিং হবে না । এই জেলা শহরে তাদের কাজ শেষ । অথচ আরো জনা পনেরো তখনো অপেক্ষায় ছিলো এবং সবার হাতেই ছিলো টিভির দেয়া আমন্ত্রনপত্র । সেটা নিয়েই কথা বলতে গেলেই এই তিনজনকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয় অনুষ্ঠানের প্রযোজক এবং পরিচালক ।
পরের দিন সকাল ।
এলাকার চায়ের দোকানে তিন ‘ম’ হাজির তাদের গুরুদের দুংখ ভাগ করে নেবার জন্য । মিলন রহমান, মিরু আলম আর মিজান সামছু । এলাকায় রবীন্দ্রনাথ, মান্না দে আর রাজ্জাক এর অনেক শিষ্য রয়েছে । তবে সবচেয়ে একনিষ্ঠ শিষ্য হিসাবে এদের নামই প্রথমে আসে ।
স্যার ওরা আপনাদের সাথে এমন করতে পারলো ।
মিলন আবেগের সাথে বলে ।
বাদ দেও আমরা গান, অভিনয়, লেখালেখি করি ভালোবাসা থেকে । পয়সা কিংবা খ্যাতি পাবার জন্য না ।
মান্না দে উত্তর দেয় ।
সেইটা স্যার এই এলাকার সবাই জানে । তারপরও …
খ্যাতি খুব একটা ভালো জিনিষও না । জুলিয়াস সিজার প্রবল পরাক্রমশালী স্ম্রাট ছিলেন । খ্যাতি তাকে দিলো কী…“সিজার সালাদ” । লোকজন নিত্য তাকে কচকচাইয়া খাইতাছে । অন্ততপক্ষে ভবিষ্যতে কেউ তো আমাদের কচকচাইয়া খাইতে পারবে না । মান্না, রাজু চলো আমরা যাই, আর তোমরা বিকালে নাটকের রিহার্সেলে এসো ।
বলে পরিবেশ একটু হালকা করে বেরিয়ে যান রবীন্দ্রনাথ । সাথে বাকি দুই গুরুজন ।
তিন ‘ম’ তারপরও থম ধরে বসে থাকে ।
চিন্তা করতে পারিস, ত্রিশ চল্লিশ বছরের সাধনা, স্যারদের কারোরই সংসার হয় নাই, আর এই তার প্রতিদান ।
মিজান সামছু চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে বলে ।
নারে সত্যি খারাপ লাগতাছে । সেদিন আমি একটা গান একটু দরদ দিয়ে গাইলাম, গান শেষে মান্না স্যার আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন । ভালোবাসা না থাকলে কেউ এমন করে না ।
মিরুও আবেগের সাথে বলে ।
ত্রিশ বছর পরে তোমাগো অবস্থাও একইরকম হবে। এসব বাদ দেও । চায়ের দোকানের মালিক জহুর চাচা মাথা নেড়ে জোরে জোরেই বলেন ।
শুনে তিন ‘ম’ দূরে কোথাও তাকিয়ে কি যেনো দেখার চেষ্টা করে । নিজেদের ভবিষ্যৎ কি?
মাত্র সাত বছর পরের কথা ।
টিভির ঈদ অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষন তিন সেলিব্রেটির অনুষ্ঠান “যত আলো তত ভালো” । এই অনুষ্ঠান নিয়ে সারা দেশে অনেক আগ্রহ । সেই আগ্রহ কয়েক গুনিতক হয়ে আছড়ে পড়েছে এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোট শহরে । কারণ তিন সেলিব্রেটিই এই অঞ্চলের মানুষ । অনুষ্ঠানটা আত্মীয় স্বজন নিয়ে দেখতে তিন সেলিব্রেটিই তখন শহরে । অনুষ্ঠান শেষে রবীন্দ্রনাথ স্যারের বাসায় দাওয়াত । স্যার এর সংসার নাই, খাওয়া দাওয়া হয় সব হোটেলে । তারপরও নিজে বাজার করে রান্না করেছেন । সাথে মান্না আর রাজ্জাকও অনেক সাহায্য করেছে । এক সময়ের শিষ্য, এখন দেশজোড়া নামডাক । খাতির তো করতেই হয় ।
খাওয়া দাওয়ার পরে পুরোনো দিনের মত উঠোনে সবাই গোল হয়ে বসে । সবার হাতে হাতে চায়ের কাপ । পাশে বিশাল ফ্লাস্ক বাড়তি নিরাপত্তা দিচ্ছে ।
এত অল্প সময়ে তোমরা কি করলা? মিলন তুমি তো গানের ব্যাকরনটাও ঠিক মতো শেখো নাই । তার আগেই ঢাকায় চলে গেলে ।
আলাপ শুরু করেন মান্না স্যার ।
আমারও একই কথা, মিরুও তো অভিনয়টা সেভাবে শেখা শেষ করলো না । তবে তোমরা তিনজনই আমাদের খুব প্রিয় ছিলে । তোমরা চলে যাওয়াতে মাঝে মাঝেই তোমাদের কথা মনে হতো, নিজেরা আলাপও করতাম । কিন্তু তোমাদের খবর পেতাম না, জিজ্ঞেস করলেও না । কয়েক বছর আগে থেকেই আর কাউকে জিজ্ঞাসা করতে হয় না তোমাদের খবর অটোমেটিক সবাই জানে । কেমনে কি করলা ?
রাজ্জাক স্যার এর প্রশ্নও যোগ হয় ।
রবীন্দ্রনাথ কিছু জিজ্ঞেস করেন না । চায়ের কাপ হাতে নিয়ে আগ্রহভরে তাকিয়ে থাকেন ।
স্যার আমাদের মধ্যে আমিই সবচেয়ে বড়। আমিই আগে বলি ।
কথা শুরু করে মিলন যার সেলিব্রেটি নাম “মুরাদুর রহমান” ।
আমি যে ব্যবসা করতাম সেটা তো জানতেন স্যার । ঢাকায় গিয়ে প্রথম দুই বছর ওটাই মন দিয়ে করেছি । টাকা পয়সা যখন বেশ হলো তখন বাসায় মাঝে মাঝেই গানের আসর বসাতাম । আসরের মূল আগ্রহ ছিলো খানা পিনা । কিন্তু কেউ যেনো খেয়েই আমার গান না শুনে চলে যেতে পারে তাই আমি মেইন গেট বন্ধ করে গান শুরু করতাম । আমি গান গাইছি এমন সময় কোনো ভদ্রলোক তো আর বলবে না “চাবিটা দেন তালা খুলে বাসায় যাবো” । তাই সবাইকেই আমার গান শুনতে হতো ।
কি বলো এতো দেখছি “গানের বিনিময়ে খাদ্য” । মানুষ তোমাকে গাল মন্দ করতো না ।
মান্না স্যার জিজ্ঞেস করেন ।
অবশ্যই করতো । আর আমি তো সেটাই চাইতাম ।
কি বলছো ইচ্ছা করে লোকের গালি আর হাসি তামাসার পাত্র হতে। মানে কি ?
মান্না স্যার অবিশ্বাসের সুরে আবার জিজ্ঞাসা করেন ।
মানে খুব সোজা স্যার । ব্যাড পাবলিসিটি বলে কোনো শব্দ নাই । যতবার লোকজন আমার নামে গালি দিতো ততো আমার প্রচার হতো । একসময় দেখলাম বাসায় অল্প কিছু লোকের গালি খেয়ে ভালো লাগছে না । তাই একটা টেলিভিশন চ্যানেল কিনে পুরো দেশের লোক যেনো ঠাট্টা , গালি তামাশা করতে পারে সেই ব্যবস্থা করলাম । গায়ক মুরাদুর রহমানকে চেনে না এমন কোনো লোক দেশে আছে কিনা সন্দেহ । এই হলো আমার সেলিব্রেটি হবার ইতিহাস ।
আমারটাও প্রায় মিলন ভাই এর মতোই ।
মিরু আলম শুরু করে ।
আপনারা তো জানেনই আমার অভিনয়ের খুব শখ । কিন্তু আল্লাহ চেহারাটা ভালো কইরা দুনিয়ায় পাঠায় নাই, শিক্ষা দীক্ষাও তেমন নিতে পারি নাই । ঢাকায় গিয়া অনেক চেষ্টা করছি কেউ পাত্তা দেয় না । অনেকবার ভাবছিলাম এখানে ফিরে এসে আপনাদের সাথেই বাকি জীবনটা কাটাইয়া দেই । কিন্তু হাল ছেড়ে দিতে মন চায় নাই । আল্লাহও সাহায্য করছে । দুনিয়ায় আইলো সোশ্যাল মিডিয়া । আমি তার ব্যবহার শিখে গেলাম । অভিনয়, গান দিতে থাকলাম অনবরত । খেয়াল করলাম যেগুলো একদম হাস্যকর, উদ্ভট হয় সেগুলোই মানুষ বেশী পছন্দ করে, মানে সেগুলো নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতে পছন্দ করে । ইচ্ছা করেই তাই অভিনয় কিংবা গানের উন্নতির চেষ্টা বাদ দিলাম । মিলন ভাই এর তাও টিভি চ্যানেল কিনতে পয়সা খরচ হইছে। আমি বিনা খরচাতেই সেলিব্রেটি “জিরো আলম” হয়ে গেলাম ।
আমি স্যার একটু দেরীতে শুরু করি । দেখলাম গান, অভিনয় মিলন ভাই আর মিরু ভাই নিয়া নিছে। আমি আসলাম লেখালেখির জগতে । একটা,দুইটা বইও বের হলো । খুব অল্প কজনই সেগুলো কিনে পড়লো । কিন্তু মিরু ভাইয়ের মতো আমিও ততদিনে বুঝে গেছি পাবলিক কি খায় । সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলাম
রবীন্দ্রনাথ কেডা আমি তারে তো চিনি না ।
অত্র অঞ্চলের রবীন্দ্রনাথ নড়ে চড়ে বসে বললেন । তুমি সত্যি এটা লিখছো ?
জি স্যার, সত্যি লিখছি ।
এর পরে কি হলো ?
কি আর হবে, শুরু হয়ে গেলো হাউকাউ । হাউকাউ এর ঢেউ মিলিয়ে যাবার আগেই লিখলাম ।
আপনাদের হাউকাউ এর জন্য রবীন্দ্রনাথ পড়লাম । এরে তো আমার মধ্যম মানের সাম্প্রদায়িক কবি মনে হইছে । কিছু রেফারেন্স দিলাম যাতে আমার লেখার গুরুত্ব বাড়ে । শুরু হইয়া গেলো আন্তর্জাতিক হাউ কাউ । ঢাকার ফকির তালুকদার লিখলেন, যদিও এই লেখকের সাথে আমি একমত না তবে তার কথা আলোচনার দাবি রাখে । জবাবে নিউইয়র্ক থেকে ফুলদা রায় লিখলেন দেশে ফকির তালুকদার এর মতো সাম্প্রদায়িক লোক আছে বলেই রবীন্দ্রনাথের এমন অবমাননা হয় । এরই মধ্যে লতা মুঙ্গেশকার, ক্রিকেটার শেন ওয়ার্নসহ আরো অনেককে নিয়াই নেগেটিভ জিনিষ লিখলাম । এই লেখার মাঝেও আমার একটা ছোট ট্রিক ছিলো । আমি এইসব লিখতাম যেদিন এই মানুষগুলো মারা যায় সেদিন । এই সময়ে ভক্তদের মন আর্দ্র থাকে । তাই লেখার সাথে সাথেই গালির বন্যা বইতে সময় নিতো না । সেলিব্রেটি “চিনিনা সামছুর” জন্ম আর ঠেকায় কে ।
তিন গুরুজন এতক্ষণ হা হয়ে তিন সেলিব্রেটির গল্প শুনছিলেন । অল্প কিছুক্ষণের মৌনতার পরে রবীন্দ্রনাথ সফেদ দাঁড়িতে হাত বুলাতে বুলাতে বলেন, এই যে সোস্যাল না আনসোশ্যাল মিডিয়ায় কিভাবে একাউন্ট খুলতে হয় একটু দেখাইয়া দেও তো ।