মাহে রামাযানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
হিজরী বর্ষপঞ্জির নবম মাসের নাম ‘রামাযান’। রামাযান শব্দের অর্থ জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়া। বিশিষ্ট অভিধানবিদ আল্লামা ফিরোযাবাদী এ মাসের নাম রামাযান হবার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন। যেমন-
(১) অত্যধিক গরমের সময় এ মাস পড়েছিল বলে,
(২) এ মাসে ছিয়াম পালনকারীর পেটের জ্বালা বেশী হয় বলে,
(৩) ছিয়াম দ্বারা পাপরাশি ভস্মীভূত হয় বলে। (ক্বামূস, ২য় খন্ড, পৃঃ ৪৯০।)
রামাযানের গুরুত্ব :
‘ছিয়াম’ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪।) ধনী-গরীব সকল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমের উপর রামাযান মাসে ছিয়াম পালন করা ফরয। একজন মানুষের সুন্দর ও স্বচ্ছভাবে জীবন যাপনের জন্য যে ধরনের বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার, ছিয়াম তার মধ্যে সে ধরনের গুণ-বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করে থাকে। এ মাসে বান্দার জন্য আল্লাহর রহমতের দ্বার উন্মুক্ত করা হয় এবং বান্দার ইবাদতে বাধা প্রদানকারী শয়তানকে বেঁধে রাখা হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন,
إِذَا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ فُتِحَتْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ- وَفِيْ رِوَايَةٍ: فُتِحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ وَسُلْسِلَتِ الشَّيَاطِيْنُ- وَفِيْ رِوَايَةٍ: فُتِحَتْ أَبْوَابُ الرَّحْمَةِ-
‘যখন রামাযান মাস আগমন করে তখন আসমানের দরজা সমূহ খুলে দেয়া হয়। অন্য বর্ণনায় আছে, জান্নাতের দরজা সমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করা হয় এবং শয়তানদেরকে শৃঙ্খলিত করা হয়। অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রহমতের দ্বার সমূহ খুলে দেয়া হয়’। (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৯৫৬ ‘ছওম’ অধ্যায়।)