সাধারণত খোলা আকাশের নিচে কাবা শরিফ তাওয়াফ করতে হয়। গরমে যখন চামড়া পুড়ে যাওয়ার জোগাড়, সে মুহূর্তেও তাওয়াফ করতে গেলে পায়ে কোনো কষ্ট অনুভূত হয় না। বরং পায়ের পাতায় বেশ খানিকটা ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগে। মসজিদে নববিতেও অভিজ্ঞতা অভিন্ন। তবে খুব সহজে এ ব্যবস্থা হয়নি। এর পেছনে রয়েছে চমকপ্রদ এক ইতিহাস।

হারামাইন (মক্কা-মদিনা) সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের ভার দেওয়া হয়েছিল মিশরীয় স্থপতি ড. মোহাম্মাদ কামাল ইসমাইলের ওপর। তিনি চেয়েছিলেন, তাওয়াফকারীদের আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য মসজিদুল হারামের মেঝে এমন মার্বেল পাথর দিয়ে ঢেকে দিতে- যার বিশেষ তাপ শোষণ ক্ষমতা রয়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর এরকম মার্বেল পাথরের সন্ধান পাওয়া যায় গ্রিসের ছোট্ট একটি পাহাড়ে। আর কোথাও এ ধরনের মার্বেলের মজুদ পাওয়া যায়নি।
স্থপতি কামাল ইসমাইল গ্রিসে গিয়ে পর্যাপ্ত মার্বেল কেনার চুক্তি সই করে মক্কায় ফিরে আসেন। যথাসময়ে সাদা মার্বেলের মজুদও চলে আসে এবং সেগুলো দিয়েই বিশেষ নকশায় মসজিদুল হারামের মেঝের কাজ সম্পন্ন হয়।