- Joined
- Dec 28, 2024
- Threads
- 109
- Messages
- 1,626
- Reaction score
- 181
- Points
- 63
- Age
- 46
- Location
- Dhaka
- Gender
- Male

জমিয়ে রাখা জিনিসও ঘরে জঞ্জাল তৈরি করে। আর সেজন্য জমে থাকা জঞ্জাল সাফ করা প্রয়োজন। সাজানো গোছানো বাসা দেখতে সব সমই ভালো লাগে।
অনেক সময় দেখা যায় প্রয়োজন নেই তারপরও কিছু জিনিস জমে যাচ্ছে ঘরের কোনায়। সেটা হতে পারে অনুষ্ঠানের জন্য কিনে আনা বেচে যাওয়া সাজানোর জিনিস, কোনো কিছুর বাক্স বা অন্য কিছু।
এরকম জিনিসগুলো ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে পেশাদার সমন্বয়কারীরা।
কাগজপত্র
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুছিয়ে রাখা উচিত। তবে অনেক তথ্যই এখন অনলাইনে আছে। সেসবের প্রতিলিপি কাগজে জমিয়ে রাখা মানে ঘরে বাড়তি জায়গা দখল করা।
যেমন - ফ্রিজ, টেলিভিশন, ওভেন বা এরকম জিনিসের কাগুজে বিবরণী, ছাপা পত্রিকা, পুরানো বিলের কপি ইত্যাদি।
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ঘর গোছানোর প্রতিষ্ঠান ‘ব্রিদিং রুম হোম’য়ের পেশাদার সমন্বয়কারী হলি ব্ল্যাকি রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “যেসব তথ্য অনলাইনে রয়েছে সেসবের ছাপা কাগজে থাকা তথ্য ফেলে দিন। যেমন - পেপার থেকে কেটে রাখা রেসিপি বা ফ্রিজের ম্যানিউয়াল। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের কাগজের বাক্স যা হয়ত কোনো কিছু কেনার সাথে ঘরে এসেছে। এগুলো জমিয়ে রাখলে শুধু ঘরে না মনের ভেতরেও জঞ্জাল জমে।”
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ
“কাজে লাগছে না এরকম ওষুধ ঘরে জমিয়ে রাখার কোনো মানে হয় না। আর সহজে যেসব ওষুধ খাওয়া পড়ে না, সেগুলোর কথা মনেও থাকে না”- একই প্রতিবেদনে মন্তব্য করেন ‘স্পেসেস বাই এমিলি’র প্রতিষ্ঠাতা এমিলি ম্যাস।
লস অ্যাঞ্জেলেস ভিত্তিক এই পেশাদার সমন্বকারী তাই পরামর্শ দেন, “প্রয়োজন পড়ে না বা মেয়াদের তারিখ শেষ এমন ওষুধগুলো ফেলে দিন। সেই সাথে সানস্ক্রিন, মলম বা ব্যান্ডএইড এরকম জিনিসগুলোও ফেলে দেওয়ার তালিকায় পড়বে।”
আধা নষ্ট রান্নার পাত্র
“রান্নাঘর হল ‘ব্ল্যাকহোল’য়ের মতো। কোথায় কোন জিনিস হারিয়ে জমে আছে অনেক সময় মনেও থাকে না”, বলেন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘দি অর্ডার্লি স্পেস’য়ের জেনিফার জনসন।
কাজে লাগছে না, ঢাকনা বা হাতল ভাঙা প্লাস্টিকের চামচ, বাটি যেগুলো হয়ত গরমের কিছুটা গলে গেছে এরকম অর্ধকার্যকর যা আছে সবই ফেলে দিয়ে রান্নাঘর অনেকটাই জঞ্জালহীন করা যায়।
অতিরিক্ত পানির বোতল
প্রায় সবার ঘরেই কোমল পানীয় বা পানির বোতল জমে থাকে। এগুলো জমিয়ে না রেখে ফেলে দিলে খাবার ও রান্না ঘরের জায়গা অনেকটাই সাফ হয়ে যায়।
ব্ল্যাকি বলেন, “বেশিরভাগ পানির বোতলই কাজে লাগে না। জমিয়ে না রেখে সেগুলো ফেলে দিতে হবে। পাশাপাশি বাড়তি মগও কাউকে দিয়ে দিতে পারেন।”
যেসব কাপড় পরা হয় না
অনেক পোশাক থাকে যেগুলোর সাথে আবেগ জড়িত। সেগুলোছাড়াও এমন অনেক জামা হয়ত আলমারির ভেতর পড়ে আছে যেগুলো পরা হয় না, পছন্দ না, ছোট হয়ে গেছে বা বড় হওয়ার কারণে আর পরা হয়নি।
ব্ল্যাকি বলেন, “পরিসংখ্যান অনুযায়ী আলমারিতে থাকা ২০ শতাংশ পোশাক আমাদের পরা হয়। বাকিগুলো পড়েই থাকে। এই ধরনের যত কাপড় আছে বাছাই করে দান করার ব্যবস্থা করুন। এগুলো যেমন অযথা বাড়তি জায়গা দখল করছে, তেমনি মনে করায় – ‘পরার মতো কিছু নেই’। তখন দেখা যায় বাড়তি পোশাক কিনে আনা হয়েছে।”
(তথ্যসূত্র: বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগৃহিত, সংকলিত ও পরিমার্জিত)