Collected বোধগম্য উপাসনা - ডা. আফতাব হোসেন

dukhopakhidukhopakhi is verified member.

Special Member
Registered
Community Member
1K Post
Joined
Dec 22, 2024
Threads
407
Messages
5,564
Reaction score
2,005
Points
3,913
Age
40
Location
Dhaka, Bangladesh
Gender
Male
*****বোধগম্য উপাসনা*****

মূল লেখকঃ ডা. আফতাব হোসেন।





ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় – কথাটা সুকান্ত কেন লিখেছিলেন, এখন তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। তিনি ক্ষুধার কষ্টে কবিতাকে ছুটি দিয়ে কঠিন গদ্য লিখতে চেয়েছিলেন। আমার অবস্থা তো আরও খারাপ। দীর্ঘ পনেরো ঘণ্টা রোজা রেখে ক্ষুধ পিপাসায় এতটাই কাতর থাকি, মাথার নিউরনগুলো শুকিয়ে মরুভূমি। শত চেষ্টাতেও মনের আকাশে তখন ওঠেনা কোনো পূর্ণিমার চাঁদ। ভালোবাসার মেঘগুলো পালিয়ে থাকে দিগন্তের ওপারে। পদ্য তো দূরের কথা, সারাদিন গদ্যের গ ও আসে না মাথায়। ইফতারের পর লিখতে বসব, তাও পারি না। খরায় পোড়া লতার মত শরীরটা নেতিয়ে পড়ে থাকে।

বেশ কিছুদিন পর আজ টেবিলে বসেছি। ল্যাপটপের স্ক্রিনটা বৈশাখের আকাশের মতই মেঘ বৃষ্টিহীন, ফাঁকা। ছোটবেলায় একটা ছবি দেখেছিলাম। দি রেইন, যখন বৃষ্টি এলো। সেই ছবিতে নায়িকা গান গাইত, আয় মেঘ আয় রে...। অমনি মেঘ চলে আসত। আমি চোখ বন্ধ করে তেমনই এক মেঘকে ডাকি। যে মেঘ থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় বৃষ্টির মতো শব্দরা ঝরে পড়ে ভরে দেবে আমার ল্যাপটপের পর্দা। হঠাৎ গিন্নীর গলা,
- এই, আমি কয় রাকাত নামাজ পড়লাম?
ফিরে তাকিয়ে দেখি, গিন্নী জায়নামাজে বসে ঘাড় বেঁকিয়ে জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে। অবাক কণ্ঠে বলি,
- তা আমি কেমন করে বলব? নামাজরত কোনো মহিলাকে অতটা গোয়েন্দা দৃষ্টিতে দেখা কি ঠিক?
- আমি কি মহিলা? আমি তোমার বউ না? আমাকে যে কোনো অবস্থায় দেখা তোমার জায়েজ আছে।

ইংল্যান্ডে থাকতে সময় কাটাতে গিন্নী প্রচুর হিন্দি সিরিয়াল দেখত। তখন কথার মাঝে প্রায়ই হিন্দি শব্দ চলে আসত। ইদানীং সে সারাক্ষণ ইউটিউবে ওয়াজ শোনে। তার প্রভাব দেখছি কথায়ও এসে গেছে। হেসে বলি,
- তাহলে এখন থেকে নামাজ পড়ার আগে আমাকে বলে রেখো। আমি তেঁতুলের বীচি নিয়ে বসে থাকব। এক এক রাকাতের জন্য এক একটা বীচি সরাব। তাহলে আর ভুল হবে না।
- দেখো, নামাজ নিয়া নাফারমানী কথা বলবা না। এটা গুনাহ কবিরা। আমি সত্যি ভুলে গেছি, তিন রাকাত পড়েছি না চার রাকাত। বলো না, আমি কি আবার পড়ব?
- একজন নাফারমান বান্দার কাছে ফতোয়া চাইছ, এটা কি সহি হচ্ছে?
- আবার দুষ্টামি? থাক, তোমাকে বলতে হবে না। আমি আবার পড়তেছি।

গিন্নী জায়নামাজে দাঁড়িয়ে নতুন করে নামাজ পড়তে শুরু করে। একটা ইরানী চাদরে ঢেকে নিয়েছে সমস্ত শরীর। ডিম লাইটের নীলাভ আলোয় কেমন এক বেহেশতি আবেশ। আমি চেয়ে চেয়ে ওর নামাজ পড়া দেখি। ইবাদত রত অবস্থায় কাউকে এত পবিত্র দেখায়, আমার জানা ছিল না। এবার সত্যি সত্যি আমি গুনি, এক, দুই, তিন...। কেমন একাগ্র চিত্তে পালন করছে সে ধর্মের অনুশাসন। এই মেয়েটির এই একটা জিনিষ আমার খুব ভালো লাগে। যা কিছুই সে করে, মন দিয়ে করে। কোনো ভণিতা নেই ওর মাঝে। নামাজ শেষ করে দেখে, আমি চেয়ে আছি ওর দিকে। একটু লজ্জা পায় যেন। বলে,
- তুমি কি সত্যি সত্যি আমার উপর নজর রাখতেছিলা?
- হুম, তুমিই তো বললা, বউকে যে কোনো সময় দেখা যায়।
- আবার ফাজলামো হচ্ছে?
- আচ্ছা, বাদ দাও। এসো, আজ দুজনে গল্প করি।
- হঠাৎ? লেখা আসছে না মাথায়? মানুষের জন্য গল্প লিখতে যেয়ে তো বউয়ের সাথে গল্প করতে ভুলেই গেছ!

অভিমানে ভারি শোনায় তার গলা। মিথ্যে বলেনি সে। আসলেই ইদানীং তেমন সময় দিতে পারি না ওকে। মনটা কেমন করে ওঠে। হাত ধরে টেনে পাশে মোড়াটায় বসিয়ে দিয়ে বলি,
- সত্যি আজ তোমার সাথে গল্প করতে ইচ্ছে করছে। তাছাড়া, সেদিন শুনলাম, তোমার এক হুজুর ওয়াজ করছেন, স্বামী স্ত্রী একান্তে গল্প করলে নাকি মিল মহব্বত বাড়ে।
- ভণিতা ছেড়ে আসল কথা বলো। নিশ্চয় তোমার মাথায় কোনো আইডিয়া ঘুরতেছে।
- তোমার মত ভালো আমাকে আর কে বুঝতে পারে বলো? আচ্ছা, নামাজ পড়তে যেয়ে প্রায়ই কি তোমার রাকাত ভুল হয়?
- প্রায়ই না, মাঝে মাঝে।
- আর কী কী ভুল হয়?
- যেমন, দুই রাকাতের মাঝে বসলাম কিনা, সুরার সাথে সুরা মিলালাম কিনা, এই সব।
- আর?
- আর, আর, নামাজ পড়তে বসলেই দুনিয়ার সব চিন্তা মাথায় আসে। আর সেই চিন্তাতেই আমার সুরা কেরাত ভুল হয়ে যায়। রাকাত এলোমেলো হয়ে যায়।
- কী মনে হয় তোমার? কেন হয় এমন?
- শয়তানের ওয়াসওয়াসা। সেদিন আসকারী হুজুর বলতেছিলেন, শয়তানের কাজই হইল আমাদের মন নিয়া টানাটানি করা।
- খাইছে! তোমার এই শয়তান মিয়া কি পুরুষ নাকি? অন্যের বউয়ের মন নিয়া টানাটানি করা তো রীতিমতো এডাল্টারীর পর্যায়ে পড়ে।
- দেখো, মশকরা করবা না। ক্যান? তোমার ভুল হয় না? তুমি কি সাধু পুরুষ? নাকি হুজুরগো চাইয়া তুমি বেশী জানো?

বেশ রেগে যায় বউ। আমার ঠোঁটে হাসির রেখা তার নজর এড়ায় না। তাছাড়া ধর্ম নিয়ে হালকা কথাবার্তা তার একদম পছন্দ না। এ জন্য নয় যে সে খুব ধর্মভীরু, বরং এ জন্য যে, আমার কথা শুনে খোদা আমার উপর নারাজ না হয়ে যান, আর আমার কোনো ক্ষতি না হয়ে যায়। ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে এই যে উদ্বেগ, এই যে এত উৎকণ্ঠা, বাঙ্গালি নারীর মাঝে যতটা দেখা যায়, অন্য কারোর মধ্যে তেমন দেখা যায় বলে আমার মনে হয় না। ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলি,
- না, আমি কোনো সাধু পুরুষ না। আর তোমার হুজুরগো চাইয়া বেশী জানা তো দূরের কথা, আমার জ্ঞান তেনাদের ধারে কাছেও না। আমারও ভুল হয়। তোমার যেই যেই ভুল হয়, নামাজে আমারও সেই সেই ভুল হয়। বরং একটু বেশীই হয়। তবে দোষটা বোধহয় শয়তানের একার না।
- মানে?
- বলছি। তার আগে বলো, তোমার মনে আছে, জেদ্দা থাকতে আমরা রমজান মাসে প্রায়ই মক্কা শরীফে যেতাম তারাবীর নামাজ পড়তে?
- হুম মনে আছে।
- তাহলে এও নিশ্চয় মনে আছে, মক্কা শরীফের ইমাম সাহেব কিরাত পড়তে যেয়ে প্রায়ই কেঁদে ফেলতেন।
- হ্যাঁ, মনে আছে।
- কেন কাঁদতেন বলতে পারো?
- নিশ্চয়ই আল্লাহর ভয়ে।
- ঠিক। এবার বলো, আমাদের বাসার পাশের মসজিদে হাফেজ সাহেবের কেরাতও শুনতে পাওয়া যায়। কখনও তাঁকে কাঁদতে শুনেছ?
- নাহ।
- আমি বাংলাদেশের অনেক মসজিদে নামাজ পড়েছি। আমিও কাউকে কিরাত পড়তে যেয়ে কাঁদতে শুনিনি। তার মানে কি আমাদের দেশের হাফেজ, ইমাম সাহেবদের মনে আল্লাহর ভয় নেই?
- নাহ, তা কেন হবে?
- অথচ এই ইমাম সাহেবরাই যখন নামাজ শেষে মোনাজাত ধরেন, তাঁদের অনেককেই তখন আকুল হয়ে কাঁদতে শুনেছি। কেন বলতে পারো?
- বাহ, কাঁদবে না? মোনাজাত তো বাংলায় করে। তখন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, করুণা ভিক্ষা করে। মৃত মা, বাবা, আত্মীয় স্বজনের জন্য দোয়া করে। তখন তো কান্না পাবেই।
- একজাক্টলী! মক্কার ইমাম সাহেবের মাতৃভাষা আরবি। তিনি যখন কিরাত পড়েন, আরবিতে পড়েন। বুঝতে পারেন, কি পড়ছেন। ভয়ে, উৎকণ্ঠায়, আবেগে তিনি কেঁদে ফেলেন। যেমন আমাদের ইমাম সাহেবরা, এমনকি আমারও যখন বাংলায় মোনাজাত করি, কিংবা মনে মনে আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তা আমাদের অনুভূতিকে নাড়া দেয়। আমাদের চোখেও পানি চলে আসে। অথচ নামাজের মধ্যে আমরা যে সব সুরা, কিরাত, দোয়া, দরুদ পড়ি, তা সব আরবিতে। আমরা শুধু আবৃতি করে যাই। যার অর্থ আমরা অনেকেই জানিনা। তাই নামাজের মধ্যে আমরা যা পড়ি, তা আমদের মন ছুঁয়ে যায় না। আমাদের মন চলে যায় অন্য কোথাও। নামাজে সুরা মিলালাম কিনা, দু রাকাতের মাঝে বসলাম কিনা, এমনকি কয় রাকাত নামাজ পড়লাম, ভুলে যাই।
- তুমি কি বলতে চাইছ, আমরা বাংলায় কিরাত পড়ব?
- না, আমি তা বলতে চাইছি না। নামাজের মধ্যে সুরা কিরাত, দোয়া, দরুদ সব আরবিতেই পড়তে হবে। এটাই নিয়ম। যেমন ধরো, একটা কোম্পানিতে লোক নেবে। কিন্তু শর্ত হচ্ছে দরখাস্ত ইংরেজিতে লিখতে হবে। এখন চাকরি পেতে হলে দরখাস্ত তোমাকে ইংরেজিতেই করতে হবে। ইংরেজিতে লিখলেও তার অর্থ কিন্তু তুমি জানো। তেমনি, নামাজ শুদ্ধ হতে হলে সুরা কিরাত তোমাকে আরবিতেই পড়তে হবে। কিন্তু তার অর্থ আমরা জানি না। অথচ অর্থ জানতে তো কোনো বাঁধা নেই। বরং অর্থ জানলে তুমি বুঝতে পারবে, প্রতিদিন, দিনে পাঁচ বার আল্লাহর কাছে তুমি কি ওয়াদা করছ, তাঁর দরবারে তুমি কি ফরিয়াদ করছ। তোমার মন তখন অন্য কোথাও যাবার সুযোগ পাবে না।
- হুম, তোমার কথায় যুক্তি আছে। কিন্তু কোরআন বোঝা কি অতই সোজা? এক হুজুর ওয়াজে বলছিলেন, কোরআনের আয়াত বুঝতে হইলে আলেম ও কামেল হইতে হয়। একমাত্র মোফাছছেরে কোরআনরাই কোরআনের সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারে।
- তোমার হুজুরের এই কথাটা আমি মানতে পারলাম না বউ। আল্লাহ তালা কোরআন নাজিল করেছেন মানুষের জীবন বিধান হিসেবে। সাধারণ মানুষ যদি কোরআন নাই বুঝতে পারে, তাহলে তা মানবে কেমন করে? কোরআন তো শুধু তিলওয়াত বা আবৃতি করার জন্য নয়। কোরআনকে পড়ে, বুঝে তা আমল করতে হবে। আরে, রাসুল (সঃ) বাংলাদেশে জন্মালে তো কোরআন বাংলায়ই নাজিল হত।
- যাহ। তাই কি হয়?
- কেন নয়? আল্লাহ যখন যে রাসুলের উপর কিতাব নাজিল করেছেন, তখন সে কিতাব সেই রাসুলের মাতৃভাষায় অর্থাৎ সেই জাতির ভাষায় নাজিল করেছেন। যেমন, তাওরাত হিব্রু ভাষায়, যাবুর ইউনানি এবং ইঞ্জিল সুবিয়ানী ভাষায় নাজিল হয়েছে।
- তয় যে শুনছি, আরবি হইল গিয়া আল্লার ভাষা, ইসলামের ভাষা। এই জন্যই তো নামাজের বাইরেও সব দোয়া আরবিতেই শেখানো হয়।
- আমি জানিনা রে বউ। তবে এইভাবে বললে আল্লাহর ক্ষমতাকে খাটো করে দেখা হয়। আল্লাহ তো সর্বজ্ঞানী, সবজান্তা। তিনি সব ভাষা জানেন ও বোঝেন। তাহলে তাঁর কাছে নির্দিষ্ট একটি ভাষায় চাইতে হবে কেন? তাছাড়া, দোয়া বা প্রার্থনা মানে তো মন থেকে কিছু চাওয়া। তুমি অবোধ্য ভাষায় মুখে যা কিছু আওড়ালে, মন যদি তা নাই বোঝে, তাহলে সেটা দোয়া হবে কেমন করে?
- কিন্তু এত সুরা, এত দোয়া দরুদের অর্থ মনে রাখা কি সম্ভব?
- অবশ্যই সম্ভব। দেখো, আমরা দৈনন্দিন নামাজে দশ বারোটার বেশী সুরা পড়ি না। তেমনই গোটা দশেক দোয়া ও দরুদ জানলে নামাজের বাকি আনুষ্ঠানিকতা পুরা হয়ে যায়। এর বাংলা অর্থ মনে রাখা খুবই সম্ভব। আমাদের শুধু ইচ্ছেটা থাকতে হবে।
- কিন্তু, অশিক্ষিত মানুষেরা কি পারবে?
- কেন পারবে না? তারা যদি সুরা মুখস্থ করতে পারে, তাহলে তাঁর অর্থও মুখস্থ করতে পারবে। শুধু আমাদের মাওলানা সাহেবদের একটু সতর্ক হতে হবে। তারা যখন শিশুদের সুরা, দোয়া হেফজো (মুখস্থ) করান, তখন যদি তার অর্থও হেফজো করান, তাহলে ওই শিশুটিকে আর সারা জীবন অবোধ্য উপাসনা করে কাটাতে হবে না।
- সে নাহয় বুঝলাম। একা একা নামাজ পড়ার বেলায় তোমার এ উপায়টা কাজে আসবে। কিন্তু মসজিদের ইমাম সাহেবরা তো এক এক নামাজে কোরআন শরীফ থেকে এক এক সুরা বা আয়াত পাঠ করেন। এত সব সুরা কিংবা আয়াতের অর্থ তো সাধারণ মুসল্লিদের জানা সম্ভব না।
- ঠিক বলছ। কিন্তু মুশকিল হইল, কোরআনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুরা ও আয়াত আছে, যা নামাজে তেলাওয়াত করলে অধিক নেকি পাওয়া যায়। সেই জন্যই ইমাম সাহেবরা ঐ সব সুরা, আয়াত পাঠ করেন।
- তাইলে উপায়?
- উপায় অবশ্য আছে। চাইলে ইমাম সাহেবরা মুসল্লিদের বোধগম্য সুরা পাঠ করতে পারেন। আমার মনে হয়, অধিক সওয়াবের চাইতে সঠিক বুঝ নিয়া নামাজ পড়াটা বেশী জরুরী। আর যদি ঐ সব সুরা কিংবা আয়াত পাঠ করতেই হয়, তাহলে তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে এমন অনেক অ্যাপ আছে, যাতে পুরা কোরআনের অর্থ পাওয়া যায় এবং সহজেই তা মোবাইলে ডাউন-লোড করা যায়। ইমাম সাহেব যদি নামাজের শেষে বলে দেন, পরবর্তী নামাজে কত নম্বর সুরা কিংবা আয়াত পাঠ করবেন, তাহলে উৎসাহী মুসল্লিরা নামাজে আসার আগে অর্থটা দেখে আসতে পারেন। এতে একটু কষ্ট অবশ্য হবে, কিন্তু কষ্ট ছাড়া তো কেষ্ট মেলে না। তাই না?
- তোমার মতো ডাক্তারি পড়া মানুষের মাথায় যদি এই চিন্তাটা আসতে পারে, তাইলে যারা ইসলাম নিয়া গবেষণা করেন, তাঁদের মাথায় আসে না ক্যান?
- তাঁদের কেন আসে না, সে দায় তাঁদের। কিন্তু আমাদের ইবাদত বুঝে শুনে, একাগ্র চিত্তে পালন করার দায় আমাদের। এসো, আজ হতে আমাদের উপাসনা বোধগম্য করি, পরিশুদ্ধ করি।
- আমীন।



লেখকের মুখবন্ধ: আমি কোনো ইসলামী চিন্তাবিদ বা ধর্ম বিশারদ নই। একজন সাধারণ মুসলমান হিসেবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলাম।
 
Back
Top