- Joined
- Dec 28, 2024
- Threads
- 107
- Messages
- 1,338
- Reaction score
- 105
- Points
- 63
- Age
- 46
- Location
- Dhaka
- Gender
- Male
এটি এমন একটি ব্যাঙ্গাত্মক রূপক যা ব্যাখ্যা করে কিছু মানুষ, প্রতিষ্ঠান বা জাতি এমন একটি সমস্যা নিয়ে কাজ করে যেটি সম্পর্কে তারা জ্ঞাত, কিন্তু সত্য মেনে নেওয়ার পরিবর্তে তারা তা অস্বীকার করে এবং এর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে।
যদি আপনি জানতে পারেন যে আপনি একটি মরা ঘোড়ার পিঠে চড়ে আছেন তবে এর সহজ সমাধান হলো তার পিঠ থেকে নেমে যাওয়া।
কিন্তু সেটা না করে তারা আসলে কি কি করে তা এই থিওরি মতে নিম্নরূপঃ
১. তারা নতুন স্যাডল নিয়ে আসে ।
২. তারা ঘোড়ার জন্য খাবার নিয়ে আসে।
৩. তারা রাইডার পরিবর্তন করে।
৪. তারা ঘোড়ার যত্ন নেওয়া কর্মীকে বদল করে এবং তার পরিবর্তে নতুন কর্মী নিয়োগ করে।
৫. তারা ঘোড়ার গতি বাড়ানোর জন্য নানা রকমের সভার আয়োজন করে এবং বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নেয়ার ব্যবস্থা করে।
৬. তারা মরা ঘোড়াটি অধ্যয়ণ, মানে, গবেষণা এবং বিশ্লেষণ করার জন্য কমিটি গঠন করে। এই কমিটি মাসব্যাপী কাজ করে এবং তারপর মরা ঘোড়ার সমাধানের জন্য প্রতিবেদন এবং পরামর্শ তৈরি করে।
৭. সরকারী অর্থ লোপাট করার জন্য নতুন বাজেট তৈরি করে।
৮. শেষমেশ কমিটি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যা শুরু থেকেই তাদের জানা ছিল – ‘ঘোড়াটি আসলে মরা।‘
৯. তবে সমস্ত প্রচেষ্টা, সম্পদ এবং সময় নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর তারা মরা ঘোড়াটিকে এবার অন্য মরা ঘোড়ার সঙ্গে তুলনা করে। কেউ বলে এই ঘোড়াটি ভালো ছিলো। কেউ বলে ঐ ঘোড়াটি ভালো ছিলো।
১০. কোনটা ভালো ছিলো আর কোনটা খারাপ ছিলো এই নিয়ে আয়োজিত টকশোতে দু’দল বাক-বিতণ্ডা করে আর সাধারণ মানুষ তা নিয়ে মাতামাতি করে।
১১. অবশেষে তারা ‘মরা’ শব্দটি নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করে, যাতে নিজেদের বোঝাতে পারে যে ঘোড়াটি এখনও জীবিত।
এই তত্ত্ব থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা হলোঃ অনেক মানুষ বাস্তবতা জেনেও অস্বীকার করে এবং নিজস্ব স্বার্থ সিদ্ধি করতে গিয়ে অর্থ ও শক্তি দু’টোই নষ্ট করে। উপরন্তু অনর্থক সময় নষ্ট করে বিষয়টিকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে সমাধান অবান্তর এবং অনেকাংশেই সম্ভব হয়ে ওঠে না।
কি? কিছু বুঝলেন? বুঝলে চেপে যান। আর মন খুলে হাসতে থাকুন।
(তথ্যসূত্র: বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগৃহিত, সংকলিত, পরিবর্তিত, পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত)
যদি আপনি জানতে পারেন যে আপনি একটি মরা ঘোড়ার পিঠে চড়ে আছেন তবে এর সহজ সমাধান হলো তার পিঠ থেকে নেমে যাওয়া।
কিন্তু সেটা না করে তারা আসলে কি কি করে তা এই থিওরি মতে নিম্নরূপঃ
১. তারা নতুন স্যাডল নিয়ে আসে ।
২. তারা ঘোড়ার জন্য খাবার নিয়ে আসে।
৩. তারা রাইডার পরিবর্তন করে।
৪. তারা ঘোড়ার যত্ন নেওয়া কর্মীকে বদল করে এবং তার পরিবর্তে নতুন কর্মী নিয়োগ করে।
৫. তারা ঘোড়ার গতি বাড়ানোর জন্য নানা রকমের সভার আয়োজন করে এবং বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নেয়ার ব্যবস্থা করে।
৬. তারা মরা ঘোড়াটি অধ্যয়ণ, মানে, গবেষণা এবং বিশ্লেষণ করার জন্য কমিটি গঠন করে। এই কমিটি মাসব্যাপী কাজ করে এবং তারপর মরা ঘোড়ার সমাধানের জন্য প্রতিবেদন এবং পরামর্শ তৈরি করে।
৭. সরকারী অর্থ লোপাট করার জন্য নতুন বাজেট তৈরি করে।
৮. শেষমেশ কমিটি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যা শুরু থেকেই তাদের জানা ছিল – ‘ঘোড়াটি আসলে মরা।‘
৯. তবে সমস্ত প্রচেষ্টা, সম্পদ এবং সময় নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর তারা মরা ঘোড়াটিকে এবার অন্য মরা ঘোড়ার সঙ্গে তুলনা করে। কেউ বলে এই ঘোড়াটি ভালো ছিলো। কেউ বলে ঐ ঘোড়াটি ভালো ছিলো।
১০. কোনটা ভালো ছিলো আর কোনটা খারাপ ছিলো এই নিয়ে আয়োজিত টকশোতে দু’দল বাক-বিতণ্ডা করে আর সাধারণ মানুষ তা নিয়ে মাতামাতি করে।
১১. অবশেষে তারা ‘মরা’ শব্দটি নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করে, যাতে নিজেদের বোঝাতে পারে যে ঘোড়াটি এখনও জীবিত।
এই তত্ত্ব থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা হলোঃ অনেক মানুষ বাস্তবতা জেনেও অস্বীকার করে এবং নিজস্ব স্বার্থ সিদ্ধি করতে গিয়ে অর্থ ও শক্তি দু’টোই নষ্ট করে। উপরন্তু অনর্থক সময় নষ্ট করে বিষয়টিকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে সমাধান অবান্তর এবং অনেকাংশেই সম্ভব হয়ে ওঠে না।
কি? কিছু বুঝলেন? বুঝলে চেপে যান। আর মন খুলে হাসতে থাকুন।
(তথ্যসূত্র: বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগৃহিত, সংকলিত, পরিবর্তিত, পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত)