- Joined
- Dec 22, 2024
- Threads
- 115
- Messages
- 1,101
- Reaction score
- 133
- Points
- 1,213
- Age
- 40
- Location
- Dhaka, Bangladesh
- Gender
- Male
পিঁপড়ের চিকিৎসা বিজ্ঞান
(অন্তর্জাল হতে সংগৃহীত)
(অন্তর্জাল হতে সংগৃহীত)
বিজ্ঞানীরা প্রাণিজগতে অঙ্গচ্ছেদ বা অ্যাম্পুটেশনের নজির দেখতে পেয়েছেন, তাও কিনা পিপড়াদের মধ্যে।
University of Würzburg এর বিহেভিয়ারেল ইকোলজিস্ট এরিক ফ্র্যাংক ফ্লোরিডা কার্পেন্টার অ্যান্টের কলোনিতে বিষয়টি লক্ষ করেছেন।
পিপড়াদের কলোনি কাছাকাছি হলে এক কলোনি প্রায়ই আরেক কলোনির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। যুদ্ধে উভয়পক্ষের সেনানীই হতাহত হয়। এবং হতাহতদের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরিয়ে এনে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়ে থাকে।
কীরূপে? যদি ইঞ্জুরি পায়ের ফিমার (উরুর অস্থি) এর উপরে পৌঁছে যায়, তবে অঙ্গচ্ছেদ ঘটানো হয়। কীভাবে? এক পিপড়া আহত পিপড়ার পা কামড়ে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। আহত পিপড়াকে প্রক্রিয়াটিতে স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। সে নিজের পা বাড়িয়ে দেয়, আরেকটি পিপড়া সেটিকে আলাদা না করা পর্যন্ত পা সরায় না। তবে তারা ব্যথা পায় কিনা, সেটি এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।
কিন্তু যদি ক্ষত পায়ের নিচের অংশে হয়, তখন কলোনির অন্যান্য পিপড়া তাদের মুখোপাঙ্গ (mouth parts) দিয়ে ক্ষতস্থানে আচ্ছা করে দলাইমলাই করে, যাতে প্যাথোজেনের সংক্রমণ প্রতিহত করা যায়।
চিকিৎসা যাই হোক, সফলতার হার কিন্তু অনেক বেশি। ফিমার ইঞ্জুরির ক্ষেত্রে যেসব পিপড়ার অ্যাম্পুটেশন হয়েছিল তাদের বেঁচে যাবার হার ৯০-৯৫%, আর যাদের চিকিৎসা হয়নি তাদের হার মাত্র ৪০%। আবার যেসব পিপড়ার টিবিয়াতে (পায়ের নিম্নাংশে) ক্ষতের পরিচর্যা করা হয়েছিল, তারা বেঁচেছে ৭৫% ক্ষেত্রে, যেখানে চিকিৎসাবঞ্চিত পিপড়ার বাঁচার হার মাত্র ১৫%।
ফ্র্যাংক এবং তার সহকর্মীরা এর আগে ম্যাটাবেল পিপড়ার ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে, পিপড়ার একটি গ্রন্থিতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পদার্থ থাকে, যেটা তারা আহত হলে ক্ষতের উপর ছড়িয়ে দেয়। বেশিরভাগ পিপড়াতে এই গ্রন্থিটা থাকলেও ফ্লোরিডা কার্পেন্টার অ্যান্টে নেই। তাই হয়তো তারা ক্ষত সারানোর এমন উপায় বের করে নিয়েছে।
এই স্টাডিটি কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল।