করোনা কালের নিরর্থক গল্প

dukhopakhi

Well-Known Member
Community Member
1K Post
Joined
Dec 22, 2024
Threads
115
Messages
1,101
Reaction score
134
Points
1,213
Age
40
Location
Dhaka, Bangladesh
Gender
Male
*****করোনা কালের নিরর্থক গল্প*****

মূল লেখকঃ মোস্তাফিজুর রহমান টিটু





-এতটা লম্বা সময়ের জন্য না হলেও তোদের মত বয়সে আমাকেও একবার বাসায় থাকতে হয়েছিলো । আমাকে মানে আমাদের বাসার সবাইকে ।
রাতের খাবারের টেবিলে এমনিতেই আমাদের সময় লাগে । আজকাল সেটা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে যাচ্ছে । এই লকডাউন কতটা বিরক্তিকর সেটা ছেলে আর মেয়ে একটু আগেই বলছিলো । জবাবে আমি উপরের কথাটা বললাম ।

-কবে, কেনো, কি হয়েছিলো ?
পরপর কয়েকটা প্রশ্ন করে ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ে । কিশোর ছেলেও একটু নড়েচড়ে বসে ... গল্পের আশায় ।

-তখন থাকি মহাখালীর টিবি গেট । তিন রুমের ভাড়া বাসা । ঐ বাসাতেই তখন বারো জন মানুষ থাকি । মেহমান আসলেই বিছানা ছেড়ে মাটিতে বিছানা করে ঘুমাতে হতো । আর বছরের ৩৬৫ দিনের মাঝে ২৫০ দিনই বাসায় মেহমান থাকতো ।
-বাবা আসল গল্প বলো ।
মেয়ে অধৈর্য হয়ে বলে ।
-আমি আসল গল্পই বলছি । আমি তো আর টিভির খবর পাঠক না । বলবো ২ মিলিয়ন আক্রান্ত, এক লক্ষ চৌত্রিশ হাজার মৃত্যু, অর্ধ মিলিয়ন সুস্থ ...যেনো ক্রিকেট খেলার স্কোরার ...মানুষ যেখানে শুধুই সংখ্যা ।
-আচ্ছা ঠিক আছে,গল্পই বলো । কিন্তু দুংখের গল্প বলতে পারবা না ।
মেয়ে মেনে নেবার ভঙ্গীতে বলে ।

-দুংখের হবে কিনা জানি না তবে সত্যি গল্প । যে সময়ের কথা বলছি তখন মহাখালী থেকে গুলশান এক নম্বর পর্যন্ত রাস্তায় হাতে গোনা দুই চারটা বহুতল ভবন ছিলো, টিবি হাসপাতালের পিছনে ছিলো বিশাল বিল, এখন যেটা ভরাট হয়ে গুলশান নিকেতন, গুলশান এক থেকে নৌকা করে বাড্ডা যেতে হতো আর চার আনা দিয়ে দুধ মালাই আইসক্রিম পাওয়া যেতো ।
ইচ্ছা করে গল্প আর একটু লম্বা করে মেয়ের প্রতিক্রিয়া দেখি । নাহ আগ্রহ নিয়েই শুনছে মেয়ে ।

-ঐ সময়েই হঠাৎ কারফিউ দিলো ?
-কারফিউ কি বাবা ?
ছেলে প্রশ্ন করে ।
-কারফিউ হলো লকডাউনের চাইতেও ভয়ংকর । আমাদের তখন টিভি ছিলো না । টিভির চ্যানেলও ছিলো একটা; তাও সেটা সন্ধ্যা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত চালু থাকতো । বাসায় একটা টু ইন ওয়ান রেডিও ছিলো । সেই রেডিওতে কিছুক্ষণ পরপর একজন খুব গম্ভীরভাবে হুমকি দিতো – রাস্তায় বের হলেই গুলি করা হবে ।
-আচ্ছা বাবা, তোমাদের টিভি ছিলো না, আগে একদিন বলেছিলে সেই সময় তোমাদের নাকি সোফাও ছিলো না । তোমরা কি খুব গরীব ছিলে ?

ছেলে আবার প্রশ্ন করে । আমি ভাবছিলাম ছেলে কারফিউ কেনো দিয়েছিলো এই প্রশ্ন করবে । এতকাল পরেও এসব নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগে না । তার চাইতে এটা খুব সহজ প্রশ্ন ।
-নারে বাবা আমাদের গরীব বললে তখনকার সত্যিকার গরীবদের অপমান করা হবে । আমি নিজে ভাতের মাড় খাওয়া...
-বাবা বলেছি না দুংখের গল্প বলবা না । হাসির গল্প বলো আশার গল্প বলো ।
আমার বাক্য শেষ হবার আগেই মেয়ে বলে ।
-জানিস বইমেলায় সব চাইতে বেশী বিক্রি হয় মোটিভেশনাল বই । ফেসবুকেও সবচাইতে জনপ্রিয় হলো মোটিভেশনাল লেখক । কিন্তু আমি পারি না । কারণ আমি উপদেশ শোনা আর উপদেশ দেওয়া দুইটাই অপছন্দ করি ।
-বাবা তুমি মিথ্যা বলতাছো । তুমি সারাদিন আমাকে, শাফিনকে এইটা করো ঐটা কইরো না বলতেই থাকো ।
মেয়ে আমাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে ।
-ঐসব আসলে নির্দেশ, উপদেশ না । নির্দেশ আর উপদেশের মাঝে পার্থক্য আছে ।
আমি গম্ভীরভাবে বলি ।
-আমাদের কাছে কিন্তু উপদেশ এর মতই শোনায় আর সেগুলোর বেশীরভাগের কোনো মানে নাই ।
-হ্যা বাবার নির্দেশকে উপদেশের মত শোনায় আর মায়ের উপদেশকেও আদেশ এর মতো শোনায় তাই তো ?
আমি আবারো গম্ভীরভাবে উত্তর দেই । কিন্তু বলেই বুঝতে পারি ভুল হয়ে গেছে, কারণ টেবিলের আরেক প্রান্ত থেকে উত্তর আসে, তোমাদের এইসব আজাইরা গল্পের মধ্যে আমাকে টানবা না; তোমাদের মত গায়ে বাতাস লাগাইয়া চলি না; আমাকে পুরা সংসারটা দেখতে হয়; আমার ইচ্ছা আমি সবাইকে আদেশ দিবো ।

-আচ্ছা আচ্ছা, আমি চা টা বানাইয়া নিয়া আসি । তারপর বাকিটা বলছি ।
পরিস্থিতি যাতে বিগড়ে না যায়, তাই দ্রুত বলি ।

চা বানাতে বানাতে মেয়ের কথা চিন্তা করি । আজকাল অনেক ব্যাপারেই মেয়ে নিজের মতামত জানাতে দ্বিধা করে না । অবশ্য মেয়ের বয়সে আমারও এই রকমই মনে হতো । একবার এক চাচার সাথে অনেকক্ষণ তর্ক করেছিলাম, মুরুব্বির সামনে চা আর পান যদি খাওয়া যায় তবে সিগারেটে টান দেওয়া কেনো বেয়াদবী হবে । প্রবল যুক্তি দিয়েছিলাম চা, পান, সিগারেট তিনটাই তো নেশা দ্রব্য । তাহলে সিগারেট একা কেনো দোষী হবে । যুক্তিতে জেতাও তখন রাজ্য জয়ের মত আনন্দের ছিলো । আরো একবার আব্বা যখন এক দুরের আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে দাওয়াত দিতে বলেছিলেন । আমি তর্ক শুরু করলাম, উনি তো এইমাত্র শুনে গেলেন, আবার তার বাসায় গিয়ে দাওয়াত দিতে হবে কেনো । আব্বার কথা বাসায় গিয়ে দাওয়াত না দিলে সন্মান দেখানো হয় না । কি যে ভীষন অর্থহীন মনে হয়েছিলো আব্বার কথা । এতকাল পরে মনে হয় আব্বা যদি আরো কিছু অর্থহীন কথা বলে যেতো তাহলে অন্য কারো না আমারই একটু উপকার হতো । মহাকালের নিয়মে আমার ছেলে মেয়েও হয়তো একদিন আমার এখনকার অনুভবের সঙ্গী হবে ।

-যা বলছিলাম, বাসায় তখন বারোজন লোক ।
আমি আবার শুরু করি ।
-পরিবারের নিয়মিত দশজনের বাইরেও তখন দুইজন ছিলো । এর মাঝে একজন হলো বাবার দূর সম্পর্কের ভাইয়ের মেয়ের জামাই । উনি আরো কয়েকদিন আগেই বাসায় এসেছেন ; এইচ, এস, সি পাশ করে ঢাকায় এসেছেন; চাকুরী খুজতে । তখন এই রকম মেহমান প্রায়ই বাসায় থাকতো । গ্রাম কিংবা মফশ্বল থেকে মানুষ ঢাকায় আসলে পরিচিত কারো বাসাতেই থাকতো । কেউ আসতো চিকিৎসা করাতে, কেউ অফিসের কাজে, কেউ চাকুরী খুজতে । মানুষের মাঝে বন্ধনগুলো তখন অনেক শক্ত ছিলো । গ্রামে ফেরার আগে আমি কিংবা বড় ভাই এরকম আত্মীয়দের ঢাকা ঘুরিয়ে দেখাতাম ।

-কি দেখাতে ?
ছেলে জিজ্ঞেস করে ।
-চিড়িয়াখানা, শিশুপার্ক, বিমানবন্দর এমনকি ফার্মগেটের ফুট ওভারব্রিজটা তখন নতুন... তাই সেটাও ।
-সত্যি ।
ছেলের চোখে মুখে অবিশ্বাস খেয়াল করে ।
-হ্যা সত্যি । তো ঐ সময়ে প্রথম যে সমস্যাটা তৈরী হয় সেটা এই মেহমানকে নিয়ে । জামাই প্রতি রাতে সোয়া সাতটার সময় রেডিওতে দুর্বার শোনে । এটা ছিলো গানের একটা অনুষ্ঠান, সেনাবাহিনীর সৈন্যদের অনুরোধের গান বাজানো হতো । এক ঘণ্টার অনুষ্ঠান ছিলো । কিন্তু আব্বা আবার পৌনে আটটায় শর্ট ওয়েভে বিবিসি এর খবর শোনে । ঐ সময়ে সবাই শুনতো ।
-কেনো দেশের রেডিও, টিভির খবর ছিলো না ।
ছেলে গলায় বিস্ময় টের পাই ।
-ছিলো তবে সেই খবর কেউ বিশ্বাস করতো না । তাই সত্যি খবরের জন্য সবাই বিবিসি আর ভয়েস অফ আমেরিকার খবর শুনতো ।
-আচ্ছা এখন যেমন চীনের দেয়া করোনার খবর অনেকেই বিশ্বাস করে না ।
ছেলে বুঝতে পেরেছে এমনভাবে মাথা নেড়ে বলে ।
-চীনের খবর তাও হয়তো কিছু লোকে বিশ্বাস করে কিন্তু তখন বাংলাদেশ রেডিও আর টিভির খবর কেউ বিশ্বাস করতো না । যাহোক আব্বা তো পৌনে আটটার আগেই ছটফট করে আর এদিকে মেহমান জামাই মনোযোগ দিয়ে গান শোনে ।
-দাদা গিয়ে বললেই পারতো খবর শুনবে । এইটা নিয়ে সমস্যা হবে কেনো ?
মেয়ে সরল প্রশ্ন করে । ওদের এখনকার জগতে হয়তো এর চাইতে সহজ সমস্যা নাই । আমি কিভাবে ব্যাখ্যা করবো বুঝতে পারি না । ব্যাখ্যা করলেও যে ওরা বুঝবে তার নিশ্চয়তা নাই । তবুও চেষ্টা করি ।

- দূর সম্পর্কের ভাইয়ের মেয়ের জামাইকে আসলে নিজের মেয়ের জামাই হিসাবেই দেখা হতো তখন । আর ঐ সময়ে মেয়ের জামাই মানেই হলো অন্যরকম...সব সময়ই প্রধান অতিথি; যে বাড়িতে তিন বেলা খাবার হয় না সেই বাড়িতেও মেয়ে জামাই গেলে পোলাও মুরগি রান্না হতো । তাই মেয়ের জামাইয়ের কাছ থেকে রেডিও নিয়ে আসা আব্বার পক্ষে সম্ভব হয় নাই ।

আমার বিস্তারিত ব্যাখ্যা ছেলে মেয়ে বুঝতে পারলো কিনা সেটা বোঝা গেলো না । আসলে আমার সব কথা ওরা বুঝতে পারবে এটা ভাবাই ঠিক না । এখনো যে গল্পটা শুনছে সেটাই আমার সৌভাগ্য বলে মনে করা উচিৎ ...আমিও তাই মনে করে আবার শুরু করলাম ।

-তবে আমার সময়টা ভালো গেছে বাড়ির দ্বাদশ ব্যক্তি ...টুয়েলভথ পারসন এর জন্য ।
আমি চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে শুরু করি ।
-সে ছিলো আমার দাদী । ছোটখাটো মানুষ, খুব সুন্দরী ছিলেন ...গ্রামে নাকি নাম ছিলো লেবু সুন্দরী । দাদীর একটা পান বাটার হামান দিস্তা ছিলো । পান, সুপারি, চুন, খয়ের দিয়ে খুট খুট করে পান ছেচতো আর আমাকে গল্প বলতো । দাদী কথা বলতো বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় ...মনু, পেত্যেক, হগলডি, আচুক্কা, উদবাগ এরকম অদ্ভুত শব্দ বলতো... কিন্তু শুনতে খুব খুব মিষ্টি লাগতো ।

শব্দের অর্থগুলি আবার ছেলেমেয়েদের বুঝিয়ে বলি । ওরা দুইজনেই একবার বরিশাল গিয়েছে । কিছু কিছু শব্দ নিজেরা আগেই শুনেছে । তখন অর্থ বুঝতে পারে নাই ।


-এরকম এক সময়েই আমার বিয়া হইছিলো । দাদী আমাকে গল্প বলা শুরু করেন । বুঝতেই পারছিস দাদীর ভাষায় গল্পটা বলছি না । সেই যোগ্যতা অনেক আগেই আমি হারিয়ে ফেলেছি ।
-কেনো তখনও কি দেশে কার্ফু ছিলো ?
আমি দাদীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ।
-নাহ দেশে তখন মহামারী ছিলো । দাদা দাদীর বিয়ের সাল তারা নিজেরাও মনে করতে পারে নাই । আমার একটা আনুমানিক হিসাব ১৯৩২ সাল । এই সময়ে পৃথিবীতে অনেকগুলো ঘটনাই ঘটেছিলো । গ্রেট ডিপ্রেশান শুরু হয়ে গেছে । ইউরোপ, আমেরিকায় অনেক লোক বেকার, হিটলার জার্মানির নাগরিকত্ব পায় এবং প্রেসিডেন্ট ইলেকশনে পরাজিত হয়, গান্ধী অনশন ধর্মঘট নামে নতুন এক রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু করেন এবং আমেরিকায় যক্ষ্মায় অনেক লোক মারা যায় । যদিও আমেরিকায় লোক মারা যাবার মূল কারণ নাকি ছিলো দারিদ্রতা আর পুষ্টিহীনতা । আমাদের দেশেও অনেককাল পর্যন্ত অনাহারে লোক মারা গেলে সরকারী লোক বলতো- ‘ডায়রিয়ায় মারা গেছে’ । সরকারী কর্তাদের আর দোষ কি । অনাহার, দারিদ্র্য, পুষ্টিহীনতা, সামাজিক অবিচার নামে তো কোনো রোগ নাই ; ডায়রিয়া, যক্ষ্মা নামে রোগ আছে ।
ডঃ গুগল এর কাছ থেকে জানা তথ্য দিয়ে আমার বিরক্তিকর গল্পকে কিছুটা চিত্তাকর্ষক করার চেষ্টা করি ।

-দেশে তখন কলেরা, দাদীর গল্পে ফেরত যাই । একবার শুরু হইলে পুরা গ্রাম শেষ হইয়া যাইতো । এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাওয়া বন্ধ, আসলে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যাওয়াও বন্ধ ছিলো । আমরা জানতাম কলেরা রোগীর শ্বাস কারো গায়ে লাগলেও সে শেষ, তার গুষ্ঠি শেষ । মুর্দারা জানাযা কিংবা আগুন পাইতো না । এর মাঝেই নাপিত বাড়ির কার্তিক এর বাপ মারা গেলো । কার্তিক আবার তোর দাদার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু, একসাথে মাঠে কাজ করে হাডুডু খেলে । কার্তিক এর বাপকে শ্মশানে নেয়ার মানুষ নাই । তোর দাদা বললো, সে যাবে । আমি নতুন বউ বেশী কথা বলতে পারি না তাও কাইন্দা কাইট্টা কইলাম, বাড়ির সব মানুষরা কইলো, কিন্তু তোর দাদার ঘাড়ের রগ সব সময়ই তেরা । সে গেলো শ্মশানে মরা পোড়াইতে । বাড়ির সবাই বললো কাসেম তো আর বাঁচবে না তুমি চাইলে আমাদের ঘরে চইল্লা আসো, কাসেম ফিরলে বাইরের হাইতনা ঘরে থাকবো । এতটুকু বলেই দাদী কালো হামান দিস্তায় পান ছেছা শুরু করলেন । ঐ খুট খুট শব্দটাও কেমন যেনো গল্পের সাথে মিশে যেতে লাগলো । আমি ভীষণ টেনশনে অপেক্ষা করতে থাকি আমার দাদা কাসেম আলী হাওলাদারের পরিণতি জানার জন্য ।
-তোমার দাদা কি বেঁচে গিয়েছিলেন ।
ছেলেও কন্ঠে সত্যিকার উদ্বেগ নিয়ে জিজ্ঞেস করে ।
-ইউ ষ্টুপিড । এইটা কোনো প্রশ্ন হলো । বাবার দাদা বেঁচে না গেলে আমার দাদা, বাবা কেউই তো আসতো না । আমরাও এই খাবার টেবিলে বসে গল্প বলতে পারতাম না । আর বাবা তুমিও এমন অনর্থক গল্প বলতে পারো না ; সময়টাই নষ্ট ।
যুক্তিতে চলা মেয়ে দ্রুত খাবার টেবিল থেকে উঠে যায় ।

আমি মনে মনে বলি, গল্পটা অনর্থক না । আজ থেকে আরো একশ বছর পরে আমার কোনো বংশধর হয়তো এই গল্পটাই বলবে ; আমি সেই স্বপ্নটাই দেখি; কারন এর চাইতে বড় কোনো আশার গল্প আমার জানা নাই ।
 
Back
Top